স্বদেশ ডেস্ক:
হেসে উঠেছে তামিম ইকবালের ব্যাট, জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। এবারের বিপিএলে তামিমের প্রথম অর্ধশতক ছোঁয়ার দিনে আসরে প্রথম জয় পেয়েছে তার দল খুলনা টাইগার্সও। টানা তিন হারের পর চতুর্থ ম্যাচে এসে জয়ের স্বাদ পেয়েছে দলটি। মঙ্গলবার রংপুরকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা।
এদিন দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল। ১৩০ রানের লক্ষ্যে দলের পক্ষে অর্ধেকেরও বেশি রান আসে তামিমের ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত তামিম অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ৬০ রানে। তামিমকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান জয়। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান তিনি। জয় অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৩৮ রানে।
তবে শুরুটা করেছিলেন মুনিম শাহরিয়ার। তামিম ইকবাল অপরপ্রান্তে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন তিনি। যদিও আউট হবার আগে বল আর রান সমান সমান হয়ে যায়, ২১ বলে ২১ রানে আউট হন মুনিম শাহরিয়ার। মুনিমের বিদায়ে ভাঙে ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে তাতে খুব একটা সমস্যা হয়নি, মাহমুদুল হাসান জয়কে সাথে নিয়ে বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন তামিম। তাদের ৭৯ বলে হার না মানা ৮৯ রানের জুটিই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়।
এর আগে অবশ্য রংপুর রাইডার্সকে স্বল্প রানেই আটকে দেয় খুলনা টাঅগার্স। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হবার আগে খুলনার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ১২৯ রান করতে পারে রংপুর। রংপুরের একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জানা যায় চোটে পড়েছেন তিনি। ফলে তার বদলে রংপুরের হয়ে টস করতে আসেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। যেখানে টসে হেরে ব্যাট করতে নামতে হয় তার দলকে।
আগে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হবার আগেই রনি তালুকদারের উইকেট হারায় রংপুর, ০ রানে ফিরেছেন এই ব্যাটার। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাইম শেখ, ফিরেন ১৩ রান করে। তবে এবারের বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।
১১.৪তম ওভারে দলীয় ৭৪ রানে চতুর্থ উইকেটটিও হারিয়ে ফেলে রংপুর, ১৪ বল থেকে মাত্র ৯ রান করে ফেরেন অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করতে থাকেন শেখ মেহেদী। পারভেজ ইমনের সাথে ২৯, শোয়েব মালিকের সাথে ২৩ ও মোহাম্মদ নাওয়াজের সাথে গড়েন ১৮ রানের জুটি। আউট হবার আগে খেলেন ৩৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। মাঝে শামিম পাটোয়ারী আউট হন ৯ বলে ৪ রান করে।
দ্রুত উইকেট হারানোর সাথে কমতে থাকে রানের গতিও। তবে ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দীনের ওভারে ১৭ রান আসলে বলের সাথে রান এগিয়ে যায়। যেখানে বড় ভূমিকা রাকিবুল হাসানের, ৭ বলে ১২ রান করেন এই স্পিনার। তাছাড়া নাওয়াজ ১১ বলে ৫, ওমরজাই ৯ ও হাসান মাহমুদ করেন ১ রান। ০ রানে রান আউট হয়েছেন হারিস রউফ।
বল হাতে খুলনার হয়ে উজ্জ্বল ছিলেন পেসাররা। ওয়াহাব রিয়াজ মাত্র ১৪ রানে ৪ উইকেট ও আহমাদ বাট ১৬ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। নাহিদুল ইসলামের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট।